আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গত ১সেপ্টেম্বর-২০২৩ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও ভোরের আলোর হাওর ভ্রমণঃ একটি পর্যালোচনা।

রেজাউল হাবিব রেজা/সম্পাদক

 গত ১সেপ্টেম্বর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও ভোরের আলো সাহিত্য আসরের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে হাওর ভ্রমণ। হাওর ভ্রমণে কেহ কেহ এগিয়ে আসায় প্রাণবন্ত হয়েছিল হাওরের এই ভ্রমণটি। তম্মধ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, করিম করিমগঞ্জ ইউনিট অন্যতম। ওদের তৎপরতায় এটি হবে কিশোরগঞ্জ জেলার সবচে শক্তিশালী ইউনিট। তার বড় প্রমাণ হলো ১সেপ্টেম্বর,শুক্রবার হাওড় ভ্রমণে সুন্দর ভুমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। যা দৃষ্টি কেড়েছে সকলের। ভোরের আলো সাহিত্য আসর একই ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ১সেপ্টেম্বর দ্যুতনা ছড়িয়েছে সবখানে।

কবিতা,গান ও ছড়া আবৃত্তির এক অনন্য তালে উদ্ভাসিত হয়েছিল হাওড় ভ্রমণ। কে ছোটো, কে বড় তার সীমারেখা ভেদ করে মানবতার প্রশ্নে একই কাতারে শামীল হয়েছিল সবাই। সময় যদি পাওয়া যেত তবে আবেগের অব্যক্ত কথাগুলো বলতে পারতো সবাই। আমরা সচেতন ও সময় জ্ঞানের স্থুলতায় কাজে লাগাতে পারিনি পুরো সময়টা। যেখানে সকাল ৯টায় ট্রলার ছাড়ার কথা সেখানে পৌনে ১১টায় ছাড়তে হয়েছে। এতে পৌনে ২ঘন্টা এমনিতেই এমনিতেই নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময়টাতে গুছিয়ে অনেক কর্মসূচি পালন করা যেত। শুনতে পারতাম সকল যাত্রীর স্ব স্ব অনুভুতির কথা। না বলা আবেগের কথা। কিন্তু তাদের সবার কথা মন-মগজে আটকে থাকায় স্তুুপাকৃত হয়ে আছে তাদের হৃদয়ে। ফলে পরিচালকের প্রতি ক্ষোভ নেই এ কথাটা বলা যাবেনা। হয়তো মনের মাঝেই তা সুপ্ত রেখে সবাই নিজের বাসা-বাড়িতে চলে গেছে। আর ব্যাথা অনুভবে কাতরাচ্ছে। গালি দিচ্ছে আমাকে। আমি তা প্রত্যক্ষভাবে না শুনলেও শুনছি দিব্যজ্ঞানে। বলা চলে অনেকটা সাধনার আত্মায় তা আমি উপলব্দ করছি। সত্যিই যদি এমন কিছু লুকানো ব্যাথা হাওড়যাত্রীদের কাছে বিদ্যমান থাকে, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। যাদের কাজ আছে,কাজের পরিককল্পনা আছে তাদেরই তো ভুল থাকতে পারে। ভুল হবেনা তাদের যাদের কোনো কর্মই নেই, কর্মের পরিকল্পনা নেই, তাদের। যারা অলস তাদের কোনো কর্ম থাকেনা। কর্মের পরিকল্পনা থাকেনা। কাজেই তাদের কোনো ভুল আছে বলে প্রতিভাত হয়না। তাই মানুষ ওই অলসদেরকে সাধু-সজ্জন ভেবে ভক্তি-বিশ্বাসে নতজানু হতে দেখি। কিন্তু আমি সেটা পারিনা বলে আমার ভুলের কিছু মাশুল গুণতে হয়। যারা ভ্রমণকালীন কিছু বলতে পারেনি, বলার সময় পায়নি তাদের যেমন ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক, তেমনি যারা আমাদের সংগঠনের কেউ নন কিংবা সংগঠনের হিতাকাঙ্খী নন তারাও ঈর্ষান্বিত হতে পারেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও ভোরের আলো সাহিত্য আসরের কার্যক্রমে এমন কর্মসূচি থাকায়। আবার অনেকে এমন আছেন যারা সংগঠনের কেউ সদস্য না হয়েও এর মঙ্গল চান, কল্যাণ চান। তাদেরকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিনন্দন। যারা হিতাকাঙ্খী নন তারা বাইরে থেকে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরার গবেষণায় নিমগ্ন হতে দেখেছি। তবে তাদের গবেষণাকে আনন্দচিত্তে বরণ করে নেই। কারণ তাদের পর্যালোচনায় আমি ও আমাদের সংগঠন অন্ধকারের কালো থাবা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সতর্ক হতে পারি। ফলে আমি সংগঠনকে পরিচ্ছন্ন রাখার সুযোগ পাই। যাহোক সুন্দর করেই আমাদের হাওড় ভ্রমণ হয়েছে। তবে আমাদের আলোকিত মানুষদের মধ্যে জনাব হাফিজুর রহমান ছাড়া অন্য কজন ভ্রমণে যেতে পরেনি। যেমনঃ
১। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নিজাম উদ্দিন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক,ভোরের আলো সাহিত্য আসর। উপদেষ্টা, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
২। আজিজুর রহমান, সভাপতি,ভোরের আলো সাহিত্য আসর,উপদেষ্টা -জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
৩। মোতাহের হোসেন, সহসভাপতি-ভোরের আলো সাহিত্য আসর,উপদেষ্টা-জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা,
৪। আমিনুল হক সাদী, সাধারণ সম্পাদক-ভোরের আলো সাহিত্য আসর ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কিশোরগঞ্জ ইউনিট।

তারা হাওড় ভ্রমণের কর্মসূচিতে নেই বলে গবেষক নিন্দুকেরা প্রশ্ন তুলছেন মোবাইলযোগে। আসলে 🔴একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা,সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন অসুস্থ। তাই তিনি ভ্রমণে যাননি। তিনি না গেলেও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। যাত্রা ভ্রমণ দু’আ করেছেন ও খবরাদি নিয়েছন।
🔴নাট্যকার সভাপতি আজিজুর রহমান তিনি আগে থেকেই অসুস্থ। তারপরও তিনি যাত্রার প্রাক্কালে নিজে হাজির হয়ে সবাইকে বিদায় করেছেন ও তিনি ভ্রমণে যাইতে না পারলেও নির্ধারিত ফি দিয়ে একজন সভাপতির কর্তব্য পালন করেছেন। পরে খোজ-খবর নিয়েছেন।
🔴সংগঠনের সহসভাপতি কবি মোতাহের হোসেন- তিনিও ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য যাইতে পারেনি। কিন্তু কার্যালয়ে এসে নির্ধারিত ফি জমা দিতে ভুল করেনি।
তাহলে ভ্রমণে ওনাদের না যাওয়া নিয়ে আর কী প্রশ্ন থাকে? তাদের না যাওয়া নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা অন্য কোন কারণ আবিষ্কার করতে পারলে তা আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
তবে এসব নিয়ে যারা গবেষণা করেন, পরের সংগঠনের তৎপরতা নিয়ে ঈর্ষাকাতর হন ও প্রপাগাণ্ডা চালান তারা যে শত্রু এতে সন্দেহ নেই।
তবে সংগঠন নিয়ে যারা কোন দায়িত্ব কার জন্য ঠিক হবে তা রদবদলের পরামর্শ দেন সেটা আমি বা আমরা বিবেচনায় আনতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category